প্রাইমারী টেট এর পরিবেশ বিদ্যার কিছু প্রশ্নোত্তর

প্রাইমারী টেট এর পরিবেশ বিদ্যার কিছু প্রশ্নোত্তর

সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও আন্দোলন

1. সংরক্ষণের সংজ্ঞা লেখ।
উঃ যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সুপরিকল্পিতভাবে পরিবেশের অনুকূল অবস্থা তৈরী করে উদ্ভিদ প্রাণী ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষিত করা যায় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাকে সংরক্ষণ বলে।

2. বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দুটি প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।
উঃ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখা ও প্রাকৃতিক পরিবেশে খাদ্যশৃঙ্খল অটুট রাখা।

3. পৃথিবী থেকে লুপ্ত হওয়া কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখ।
উঃ ডোডো পাখি, মেছো কুমীর, তুষার চিতা ইত্যাদি।

4. ভারতের দুটি কুমীর প্রকল্পের নাম লেখ।
উঃ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের লোথিয়ান দ্বীপ ও উড়িষ্যার টিকের পাড়া।

5. অভয়ারণ্য কাকে বলে?
উঃ যেসব সংরক্ষিত বনভূমিতে কিছু বিশেষ ধরণের প্রাণী ও উদ্ভিদ বাস করে তাকে অভয়ারণ্য বলে।

6. ভারতে মোট কয়টি অভয়ারণ্য আছে?
উঃ ৪২১ টি।

7. পৃথিবীর সর্বপ্রথম জাতীয় উদ্যান কোনটি?
উঃ আমেরিকার ইয়োলোস্টোন ন্যাশানাল পার্ক (১৮৭২ সাল)।

8. ওল্ড ফেথফুল কী?
উঃ আমেরিকার একটি সবিরাম উষ্ণ প্রসবন।

9. ব্যাঘ্র প্রকল্প বলতে কী বোঝ?
উঃ স্বাভাবিক পরিবেশে বাঘকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার যে পরিকল্পনা তাকে ব্যাঘ্রপ্রকল্প বলে।

10. Animal in Danger বইটি কার লেখা?
উঃ বিজ্ঞানী জন স্পার্কাস এর (১৯৭১) লেখা।

11. বনভূমি সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উঃ মানুষের যে দূরদর্শী কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে অরণ্যকে সুরক্ষিত রাখা যায়, বনভূমি সৃজন করা যায়, পরিবেশকে সুস্থিত করা যায় বন্যজীবজন্তুর আবাস নিরাপদ রাখা যায় সেই জনমুখী কাজকে বনভূমি সংরক্ষণ বলে।

12. ‘Agenda 21’ বা একুশ দফা কর্মসূচী কী?
উঃ ১৯৯২ সালে ৩-১৪ ই জুন রিও ডি জেনিরো শহরে অনুষ্ঠিত এবং বসুন্ধরা সম্মেলনে গৃহীত ২১ দফা কর্মসূচীকে এজেণ্ডা ২১ বলে।

দেখে নাও : প্রাইমারি টেট সিলেবাস 2022 PDF – WB Primary TET Syllabus 2022 in Bengali

13. কতকগুলি পরিবেশ আন্দোলনের নাম লেখ?
উঃ চিপকো আন্দোলন, নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন, সাইলেণ্ট ভ্যালি আন্দোলন, গ্রীন পিস আন্দোলন প্রভৃতি।

14. চিপকো আন্দোলন কবে কোথায় হয়?
উঃ ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে উত্তর প্রদেশের গাড়োয়াল প্রদেশের মণ্ডল গ্রামে গাছকাটার বিরুদ্ধে একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা চিপকো আন্দোলন নামে খ্যাত।

15. চিপকো আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখ।
উঃ সুন্দর লাল বহুগুণা, চণ্ডীপ্রসাদ ভট্ট।

16. চিপকো আন্দোলন কারা, কীভাবে করে?
উঃ হিমালয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে গাছ কেটে নেওয়ার ব্যবসা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছিল, এর ফলে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল, ৯৭৩ সাল নাগাদ গ্রামবাসী মহিলারা প্রথম এই আন্দোলন শুরু করে। ঠিকাদাররা গাছ কাটতে এলে তারা গাছগুলি জড়িয়ে ধরে, ফলে ঠিকাদাররা গাছ না কাটতে পেরে ফিরে যায়।

17. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন কোথায় ও কেন হয়?
উঃ গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের যৌথ উদ্যোগে নর্মদা প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয় কিন্তু পরিবেশবাদীরা মনে করেন যে এই প্রকল্প রূপায়িত হলে ৯২ টি গ্রাম সম্পূর্ণ জলমগ্ন হবে, ২৯৪ টি গ্রাম আংশিক জলমগ্ন হবে এবং প্রায় তিন লক্ষের মত মানুষ কর্মহীন ও গৃহহীন হবে। তাই মেধা পাটকারের নেতৃত্বে নর্মদা প্রকল্প রূপায়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়, যা নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন নামে খ্যাত।

দেখে নাও : শিশু বিকাশ ও শিক্ষণবিদ্যা প্রশ্ন ও উত্তর – TET স্পেশাল

18. গ্রীন পিস আন্দোলন কী?
উঃ ১৯৭১ সালে নেদারল্যাণ্ড আমস্ট্রারদামে পরিবেশ সুরক্ষা উদ্দেশ্যে একটি আন্তঃর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করা হয়। এই সংস্থাটি গ্রীন পিস নামে খ্যাত বং এদের আন্দোলন গ্রীনপিস আন্দোলন নামে খ্যাত।

19. স্টকহোম আন্দোলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৯৭২ সালে ৫–১৬ই জুন সুইডেনের স্টক হোম শহরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানব পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

20. পৃথিবীর কয়টি দেশ স্টকহোম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল?
উঃ ১১৩ টি দেশ।

21. বসুন্ধরা সম্মেলন কবে, কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সালে ৩–১৪ই জুন ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করার জন্য বসুন্ধরা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যাবলী

1. পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতিবছর কতটা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে?
উঃ প্রতিবছর ০.৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

2. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে সৃষ্ট মানুষের দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ ত্বকে ক্যানসার ও চোখে ছানি।

3. Stone Cancer কী?
উঃ অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাবে মার্বেল পাথরের সৌধ বা ভাস্কর্যে যে ক্ষেতের সৃষ্টি হয় তাকে স্টোন ক্যান্সার বলে।

4. পৃথিবীর প্রথম জাতীয় উদ্যানের নাম কী?
উঃ ইয়োলো স্টোন পার্ক।

দেখে নাও : শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন কমিটি ও কমিশন তালিকা

5. সিলিকসিস কী?
উঃ ফুসফুসে বালি কণা জমে যে সমস্যা দেখা দেয় তাকে সিলিকসিস বলে।

6. কত মাত্রার শব্দ মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে?
উঃ ২০০ ডেসিবেল।

7. Sand Fly এর মাধ্যমে কোন রোগ ছড়ায়?
উঃ কালাজ্বর।

8. রক্ত বাহিত দুটি রোগের নাম লেখ।
উঃ ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, এডস ইত্যাদি।

9. অ্যানথেরিয়ার্কোসিস কী?
উঃ ফুসফুসে কয়লার গুঁড়ো জমে যে রোগ যে রোগ দেখা দেয় তাকে অ্যানথোরিয়াকসিস বলে। কয়লাখনি অঞ্চলের শ্রমিকদের এই রোগ দেখা যায়।

পরিবেশের অবক্ষয় ও দূষণ

1. বায়ুদূষণের সংজ্ঞা দাও।
উঃ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে অনিষ্টকর পদার্থের সমাবেশ ঘটলে তা মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করে এবং তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে।

2. বায়ুর মূল উপাদান গুলি কী কী?
উঃ নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আর্গন, কার্বন ডাই অক্সাইড, জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা ইত্যাদি।

3. বায়ুমণ্ডলের আবরণকে মুখ্যতঃ কি কি স্তরে ভাগ করা হয়?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার ও থার্মোস্ফিয়ার।

4. বায়ুর বেশিরভাগ অংশ কোন স্তরে বিদ্যমান?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ারে।

5. ভূস্তর থেকে কত উচ্চতা পর্যন্ত ট্রপোস্ফিয়ার বর্তমান?
উঃ প্রায় ১৫ কিমি পর্যন্ত।

6. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজোন গ্যাসের লেয়ার দেখা যায়?
উঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে।

7. বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর পৃথিবীর জীবকে কিভাবে রক্ষা করে?
উঃ সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনী রশ্মি বিভিন্ন জীবের উপর মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। ওজোনস্তর এই রশ্মিকে শোষণ করে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা দেয়। ফলে পৃথিবীর জীবরা এই রশ্মির মারাত্মক প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।

8. প্রাকৃতিক উপায়ে বায়ুদূষণ কিভাবে ঘটে?
উঃ আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা, ছাই, মহাকাশ থেকে আগত মহাজাগতিক রশ্মি, উল্কা, সমুদ্র থেকে নির্গত লবণের কণা প্রভৃতির দ্বারা।

9. দূষিত বায়ুতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোন যৌগের উপস্থিতি দেখা যায়?
উঃ বেঞ্জো পাইরিন নামক জৈব যৌগের উপস্থিতি দেখা যায় সেটি ক্যানসার সৃষ্টি করে।

10. বায়ুতে কার্বন মনোক্সাইডের উপস্থিতি প্রাণীদেহে কি ক্ষতি করে?
উঃ কার্বন মনোক্সাইড একটি অতি বিষাক্ত গ্যাস, এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে ক্রিয়া করে কার্বক্সি হিমোগ্লোবিন যৌগ গঠন করে ও দেহে অক্সিজেন পরিবহনের মাত্রা হ্রাস করে। এই গ্যাসের অতিমাত্রায় উপস্থিতিতে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

11. বায়ুতে সালফার ডাই অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধিতে প্রধান প্রধান উৎস গুলি কী কী?
উঃ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার দহন, যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া, সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরির কারখানা প্রভৃতি।

12. বায়ুতে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস মানুষের দেহে কি ব্যাঘাত ঘটায়?
উঃ এই গ্যাস মুখ্যতঃ শ্বাসনালী ও ফুসফুসে প্রভাব ফেলে, ফলে শ্বাসঘটিত বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়।

13. অম্লবৃষ্টির জন্য প্রধানতঃ কোন গ্যাস দায়ী?
উঃ সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইড, ওজোন প্রভৃতি।

14. অম্লবৃষ্টিতে প্রধানতঃ কোন কোন অ্যাসিডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়?
উঃ মোটামুটিভাবে ৬০ ভাগ সালফিউরিক অ্যাসিড এবং ৪০ ভাগ নাইট্রিক অ্যাসিড।

15. অম্লবৃষ্টিতে জলাশয়ের উপর কি প্রভাব ফেলে?
উঃ জলাশয়ের পি এইচ এর মান কম হওয়াতে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যু ঘটে, ফলে জলাশয়টি অনুৎপাদক বলে পরিগণিত হয়।

16. ভারতে অম্লবৃষ্টি কোন কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
উঃ ভারতের বিভিন্ন শিল্পপ্রধান অঞ্চল ও মেট্রো শহরগুলি যেমন মুম্বাই, চেন্নাই, দিল্লী, কলকাতা প্রভৃতি অঞ্চল।

17. গ্রীণহাউস গ্যাস কোনগুলি?
উঃ যে গ্যাসগুলি বাতাসে গ্রীণহাউস এফেক্ট সৃষ্টি করে তাদেরকে গ্রীণহাউস গ্যাস বলে। যেমন – কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড।

18. গ্রীণহাউস প্রভাবে কোন কোন CFC গ্যাস বেশী দায়ী?
উঃ ট্রাই ক্লোরো ফ্লুরো মিথেন এবং ডাই ক্লোরো ডাই ফ্লুরো মিথেন প্রভৃতি।

19. প্রকৃতিতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের মাত্রাধিক্যের কারণ কী?
উঃ অরণ্যের বিনাশ এবং শিল্প ও যানবাহনের প্রসার।

20. CFC গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের কিভাবে ক্ষতি করে?
উঃ CFC গ্যাস বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে উপস্থিত হলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি এই গ্যাসকে ভেঙ্গে ক্লোরিন মুক্ত করে। এই মুক্ত ক্লোরিন অনুঘটকের কাজ করে এবং ওজোন ভেঙ্গে অক্সিজেনে পরিণত করে।

21. কোন কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুতে উপস্থিত কণাজাতীয় দূষক পদার্থ অপসারণ করা হয়?
উঃ প্রধানত সাইক্লোন সেপারেটর এবং ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক সেপারেটর যন্ত্রের সাহায্যে।

22. বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
উঃ নাইট্রোজেন।

23. ১৯৫২ সালে লণ্ডন শহরে ৪০০০ লোকের মৃত্যু কি কারণে হয়েছিল?
উঃ বায়ুদূষণের ফলে।

24. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেঘের অবস্থান দেখা যায়?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ারে।

25. PAN এর পুরো নাম কী?
উঃ পার অক্সি অ্যাসিটাইল নাইট্রেট।

26. হাইড্রোজেন ফ্লুরাইড দ্বারা প্রাণীদেহে সৃষ্ট রোগের নাম কী?
উঃ ফ্লুরোসিস।

27. অম্লবৃষ্টি গঠনের প্রধান প্রধান অ্যাসিডগুলি কী কী?
উঃ সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ওজোন, জল।

28. প্রশম জলের পি এইচ মান কত?
উঃ সাত (৭)।

29. পশ্চিমজার্মেনীর বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার কারণ কী?
উঃ অম্লবৃষ্টি।

30. কলকাতায় বৃষ্টির জলের গড় পি এইচ মান কত?
উঃ ৫.৮।

31. সালফার ডাই অক্সাইড দ্বারা বায়ুদূষণের সবচেয়ে বৃহত্তম উৎস কী?
উঃ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

32. ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন এর (CFC) উৎস কী?
উঃ রেফ্রিজারেটর।

33. প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসের নাম কী?
উঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।

34. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় তার নাম কী?
উঃ হালন।

35. অতিবেগুনী রশ্মি জীবদেহের কী ক্ষতি করে?
উঃ ত্বকের ক্যানসার সৃষ্টি করে।

36. ওজোন হোল প্রথম কবে আবিষ্কৃত হয়?
উঃ ১৯৮৫ সালে।

37. ওজোন হোলের ক্ষয়ের জন্য দোষী প্রধান গ্যাসের নাম কী?
উঃ CFC।

38. এনভায়রনমেণ্টাল প্রোটেকশান এজেন্সী কোথায় অবস্থিত?
উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে।

39. SPM এর পুরো নাম কী?
উঃ Suspended Particulate Matter.

40. লেডেড পেট্রোলে যে যৌগটি মেশানো থাকে তার নাম কী?
উঃ টেট্রা ইথাইল লেড।

41. অম্লবৃষ্টির ফলে ভারতের যে অভয়ারণ্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার নাম কী?
উঃ ভরতপুরের পক্ষী অভয়ারণ্য।

42. Air Pollution গ্রন্থটি কার লেখা।
উঃ বিজ্ঞানী পার্কিন্স।

43. গ্রীন হাউস প্রভাব কী?
উঃ বায়ুমণ্ডলে মূলত কার্বনডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে গ্রীনহাউস প্রভাব বলে।

44. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ কী?
উঃ জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, জ্বালানি হিসাবে কাঠের ব্যবহার বৃদ্ধি, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বৃদ্ধি, নাইট্রাই অক্সাইড বৃদ্ধি ইত্যাদি।

45. গ্লোবাল ওয়ার্মিং কী?
উঃ সাড়া পৃথিবী জুড়ে উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান অবস্থাকে বিজ্ঞানীরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলেছেন।

46. অ্যাসিড বৃষ্টি কাকে বলে?
উঃ শিশির, তুষার ও বৃষ্টির জলের সাথে মিশ্রিত হয়ে বাতাসে ভাসমান সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থ পৃথিবীতে যখন ঝরে পড়ে তখন তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।

47. পৃথিবীতে কোথায় কোথায় অ্যাসিড বৃষ্টি বেশি হয়?
উঃ কানাডা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সুইডেন, নেদারল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে।

48. ভারতে কোথায় কোথায় অ্যাসিড বৃষ্টি বেশি হয়?
উঃ মুম্বাইয়ের চেম্বুর, মহারাষ্ট্রের পুনে, কেরালার ত্রিবান্দ্রাম।

49. ওজোন হোল কী?
উঃ বায়ুমণ্ডলের ১০ থেকে ৮০ কিমি উচ্চতায় স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ প্রতিহত করার জন্য ওজোন গ্যাসের যে প্রাকৃতিক আবরণ আছে বিভিন্ন কারণে সেই স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে ওজোন হোল বলে।

50. ওজোন হোল সৃষ্টির কারণগুলি কী?
উঃ রঙ শিল্প, রেফ্রিজারেশন, প্লাস্টিক শিল্প প্রভৃতি থেকে নিঃসৃত ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বায়ুমণ্ডলের অতিবেগুনী রশ্মির সাথে বিক্রিয়া করে ওজোন হোল সৃষ্টি হয়।

51. B.O.D-বলতে কী বোঝ?
উঃ B.O.D বা বায়লজিক্যাল অক্সিজেন ডিমাণ্ড বা জীব রাসায়নিক চাহিদা বলত জলজ ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অনুজীবদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ও বারবৃদ্ধির জন্য জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের চাহিদা বোঝায়।

52. ইউট্রোফিকেশন বলতে কী বোঝ?
উঃ যে পদ্ধতিতে হ্রদের তলদেশে জৈব পদার্থ ক্রমাগত জমা হওয়ার ফলে হ্রদ ভরাট হয় তাকে ইউট্রোফিকেশন বলে।

53. আর্সেনিক দূষণ কাকে বলে?
উঃ অতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত হয়ে জল বা মাটি দূষিত হলে তাকে আর্সেনিক দূষণ বলে।

54. শব্দদূষণ কাকে বলে?
উঃ শব্দ যখন মানুষের সহনক্ষমতা অতিক্রম করে তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে।

55. শব্দদূষণ পরিমাপের একক কী?
উঃ শব্দ দূষণ পরিমাপের একটি বহুল প্রচলিত একক হল ডেসিবেল।

56. শব্দদূষণের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ কর।
উঃ মানুষের কর্মদক্ষতা হ্রাস পায় ও স্মৃতি-শক্তি কমে যায়।

57. কীটনাশক দূষণ কী?
উঃ অতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত কীটপতঙ্গ মারার সাথে সাথে জল মাটি বাতাস উদ্ভিদ প্রাণী এবং মানুষের শারিরীক ক্ষতি যখন হয় তাকে কীটনাশক দূষণ বলে।

58. চের্নোবিল দুর্ঘটনা কী?
উঃ ১৯৮৬ সালের ২৬ শে এপ্রিল ইউক্রেনের চের্নোবিল শহরে পারমানবিক শক্তি কেন্দ্রে যে বিস্ফোরণ ঘটে তাকে চের্নোবিল দুর্ঘটনা বলে।

59. চের্নোবিল দুর্ঘটনার কারণ কী?
উঃ চের্নোবিল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হত। এখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও দুর্ঘটনার দিন সেগুলি চালু ছিল না, ফলে পারমানবিক চুল্লীর ভিতরে ইউরেনিয়াম জ্বালানি প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় ও বিস্ফোরণ ঘটে।

Comments are closed.

Scroll to Top